সত্য বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা*
১৮১৯ খ্রীষ্টাব্দ। জুম আবাদের জন্য উপযুক্ত জায়গার সন্ধানে মাতামুহুরীর তৈনছড়ি অঞ্চল থেকে ৪০০০ অনুসারী নিয়ে ফাপ্রু এসেছিলেন কর্ণফুলী নদীর কিনারে। এতদ্ অঞ্চলে তখন মোগল বংশীয় জমিদার জব্বার খাঁ (মৃত্যু ১৮১২ খ্রী:) এর উত্তরাধিকারী ছিলেন তার মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে জন্ম নেয়া সাত বছর বয়সী শিশুপুত্র ধরম ব· খাঁ (জন্ম ১৮১২ খ্রী:)। জমিদারীর উত্তরাধিকার নিয়ে জব্বার খাঁর বিধবা স্ত্রীর পক্ষের সাথে প্রতিপক্ষ মোগল বংশীয় হোসেন খাঁর বিরোধ চলছিল। মোগল বিদ্বেষী ইংরেজ প্রশাসন রাজানগরে অবস্থিত এই মোগল জমিদার পরিবারের কোন্দলে শিশু জমিদার ধরম বক্সখাঁর পক্ষ নেয়। প্রশাসন শিশু ধরম বক্স খাঁকে জমিদার মনোনয়ন দিযে উত্তর ভারত থেকে আসা সরকারের তল্পিবাহক একদল হিন্দুকে ইজারাদার নিয়োগ করে পার্বত্য জমিদারী পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করে। রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য জমিদার ধরম ব· এর বরাত দিয়ে তৈনছড়ী থেকে আগত লোকদেরকে চন্দ্রঘোনার পার্শ্বে কর্ণফুলীর দক্ষিন পাড়ে সীতাপাহাড় এলাকায় জুম আবাদ করার অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু ফাপ্রুকে তাদের দলপতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। ফলত: মন:ক্ষুন্ন ফাপ্রু সে স্থান ত্যাগ করে পূর্ব জায়গায় ফিরে যান, আগত প্রায় অর্ধেক লোকও তাঁকে অনুসরণ করেন। অবশিষ্ট যারা থেকে গেলেন তারা সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নূতন নূতন উর্বর ভূমিতে জুম আবাদ করতে করতে ক্রমান্বয়ে কর্ণফুলীর উত্তরে রামপাহাড় এবং সীতাপাহাড়ের পূর্বদিকে রাইংখ্যং হয়ে ঠেগা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েন। জমিদারী খাজনা আদায়ের তৌজিতে তাদেরকে তংজিয়নাই (Taungiyny) বলে উল্লিখিত হরা হয়। ধরম ব· খাঁ কৈশোরে পদার্পন করলে জমিদারীর উত্তরাধিকারী সাব্যস্ত হন। তিনি একদিন জমিদারী দেখভালে বেরুলে জনৈক চাকমা প্রজা গুজং এর লাবণ্যময়ী কন্যা কালাবীকে দেখে মুগ্ধ হন এবং তাঁকে বিয়ে করেণ। ইনি চাকমা জাতির ইতিহাসের কালিন্দী রাণী। ১৮৩২ খ্রীস্টাব্দে বিশ বছর বয়সে জমিদার ধরম বক্সখাঁ মারা যান। এ সময় ইংরেজ সরকার ধরম বক্সখাঁর তৃতীয়া পত্নী হারিবীর গর্ভজাত কন্যা মেনকাকে জমিদারীর উত্তরাধিকার নিয়োগ করে। এতে কালিন্দী রাণীর আপত্তি থাকায় ধরম বক্সখাঁর স্বগোত্রীয় সুখলাল খাঁকে মেনকার অভিভাবক হিসেবে জমিদারী পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। জমিদারীর উত্তরাধিকার প্রশ্নে মোগল পরিবারে কোন্দল দানা বেঁধে উঠে। ধরম বক্স খাঁর বিধবা পত্নী কালিন্দী রাণী এ সময়ে প্রতিপক্ষ থেকে নানারূপ সমস্যার সন্মুখীন হন। তাঁর স্বামীর জীবিতকালে দক্ষিন থেকে আগত তংজিয়নাই লোকেরা যেমন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় অংশ নিয়েছিল তেমনি দূ:সময়ে তারাও বড় হাতিয়ার ছিল কালিন্দি রাণীর পক্ষে। এ পর্যায়ে দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর ১৮৪৪ খ্রীস্টাব্দে কালিন্দী রাণী মৃত স্বামী ধরম বক্সখাঁর উত্তরাধিকারী সাব্যস্ত হন। এতে স্বাভাবিকভাবেই তংজিয়নাই লোকেদের স্বস্তিবোধ হবার কথা। কিন্তু আঞ্চলিক পরিস্থিতি তেমন সুখকর ছিল না। এ পার্বত্য অঞ্চল ইতিপূর্বে ছিল গভীর জঙ্গলাকীর্ন এবং চিন পাহাড় ও লুসাই পাহাড় থেকে আগত শিকারজীবি কুকি গোত্রের লোকজনের বিচরণ ভূমি। ১৭৮৫ খ্রীস্টাব্দে তৎকালীন বার্মা রাজ বোধপায়া আরাকান দখল করার পর তার সৈনিকেরা সে দেশে ব্যাপক গণহত্যা চালায়। ফলত: সেখান থেকে চাকমা, মগ, খুমি, বোম, মুরুং প্রভৃতি জনগোষ্ঠির লোকজন ক্রমান্বয়ে পশ্চিম দিকে সরে আসতে থাকে এবং ইংরেজ প্রশাসনের দ্বারা নিযুক্ত জমিদার ইজারাদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় তারা কার্পাস মহল (বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলার দক্ষিণ অংশ এবং বান্দরবান জেলা) অঞ্চলে বসতি গড়ে তোলে। নিজেদের বিচরণ ভূমিতে বহিরাগত লোক সমাগমের ফলে কুকীরা অতিমাত্রায় ক্ষুব্ধ হয়ে চাকমা, মগ বসতিগুলোতে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব ও দক্ষিন অংশ থেকে শুরু করে মাতামুহুরী উপত্যাকা জুড়ে একের পর এক হামলা ও লুঠতরাজ শুরু করে। ১৮৩৭ থেকে ১৮৭৩ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত সময়ে মাঝে মধ্যে এ সমস্ত হামলা, লুঠতরাজ সংঘটিত হয়। স্বাভাবিকভাবেই তংজিয়নাই লোকেরাও এ সমস্ত হামলা থেকে রেহাই পায়নি, তাদের নিকট এটা ‘লাংগেই ড’ নামে একটা ভয়াবহ দূ:স্বপ্ন ছিল। এ ছাড়াও ছিল ‘মিছিলিক ড’ অর্থাৎ ছেলেধরার ভয়। তৎকালে কিছু কিছু কাপালিক সুযোগ মত ছেলেপিলে কিংবা প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ পেলে ধরে নিয়ে বনের গভীরে বেদী নির্মান করে মানস পূর্তির কামনায় নরবলি দিত।
চাকমা, মগ প্রভৃতি প্রজারা যেমন জমিদারের দাসের অনুরূপ ছিল,আশ্রিত তংজিয়নাইরাও এর কোন ব্যতিক্রম থাকার কথা নয়। শুধু খোদ জমিদার নয়, তার নিয়োজিত দেওয়ান, তালুকদার প্রভৃতি খাজনা সংগ্রাহক ব্যক্তিরাও নিজেদরকে সাধারণ জুমিয়া প্রজাদের প্রভু মনে করত এবং তাদের উপর যথেচ্ছ নিপীড়ন চালাত।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এমত অবস্থায় তংজিয়নাই লোকেরা তাদের পূর্ব দলপতি ফাপ্রুর মত আগের জায়গায় চলে গেল না কেন ! ফাপ্রুও বা দলবল নিয়ে এসেছিলেন কেন ! তাদের পূর্বতন স্থান কি বসবাসের জন্য তেমন প্রতিকুল ছিল না, যে কারনে তারা সেখানে ফিরে যাওয়াটাই শ্রেয় মনে করেছিল!
ফাপ্রু যদি আগত দলটির অবিসংবাদিত নেতা হতেন তা’হলেও সবাই এক সাথে চলে যেতেন। বোঝা যায় তিনি তাদের সকলের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন না, ছিলেন গাইড কিংবা মুখপাত্র। সে সময়ে তংজিয়নাইদের গছা ও গোত্র ভিত্তিক সামাজিক কাঠামোতে একক কোন নেতা থাকাও হয়তো সম্ভব ছিল না। পঞ্চাশ-ষাট বছর আগেও আমার ছোটবেলায় দেখেছি গছা ভিত্তিক পাড়া আলাদা আলাদা ছিল, সাধারনত: এক গছার লোকের পাড়াতে অন্য কোন গছার লোকের বাড়ী দেখা যেত না। এমন কি আন্ত:গছা বিয়ের সম্পর্কও হতো না। বর্তমানেও ধন্যা গছা, মুঅ গছা, কারওয়া গছা, মেলং গছা প্রভৃতি বিভিন্ন গছার মধ্যকার কথাবর্তায় শব্দ ও উচ্চারনগত পার্থক্য এত বেশী স্পষ্ট যে শুনলেই বোঝা যায় বক্তা কোন গছার লোক। এ পার্থক্য অতীতে আরো বেশী ছিল নিশ্চয়, যা থেকে প্রমানিত হয় যে, বিভিন্ন গছার লোকদের বসতিগুলো পরস্পর থেকে বেশ দূরে দূরে ছিল। যার ফলে তাদের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ কমই হতো বলে কথাবার্তাতেও ভিন্নতার উদ্ভব ঘটেছিল। তংজিয়নাইগণের বারটি গছার মধ্যে সাতটা গছার এক অংশ বাংলাদেশে ‘তঞ্চঙ্গ্যা’ নামে বাকী অংশ ‘দাইনাক’ নামে মায়ানমারে বিভক্ত হয়ে রয়েছে।
জমিদারী তৌজিতে উল্লিখিত ‘তংজিয়নাই’ থেকে বিবর্তিত ‘তঞ্চঙ্গ্যা’ জনগোষ্ঠীকে চাকমারা ‘টুংটুঙ্যা’, ’টুংটইংগ্যা’ বলে। নাম করণে এই উচ্চারণ বিকৃতি ইচ্ছাকৃত তুচ্ছ্যার্থে নাকি তাদের জিহ্বার জড়তাজনিত তা’ আমার নিকট এ পর্যন্ত বোধগম্য নয়। চাকমাদের অনেকে বলেন ‘টুংটুঙ্যারা’ আসল চাকমা। এর পেছনে কি ঐতিহাসক কোন কারণ আছে ? হয়তো বা। অথচ ১৯১০ ইং সময়ে ‘চাকমা জাতির ইতিহাস’ গ্রন্থে’ শ্রী সতীশ চন্দ্র ঘোষ লিখেছেন- ‘চাকমারা পাহাড়ী তঞ্চঙ্গীয়া দিগকে আপন সমাজভুক্ত করিয়া লয় নাই, এমন কি বিবাহাদি কর্যে কোনরূপে ইহাদের সহিত সম্বন্ধ হয় নাই।’ শ্রী কুমুদ বিকাশ চাকমা তাঁর ‘চাকমা দুই রাজবংশ’ পুস্তকে মন্তব্য করেছেন- আরাকানের আদিবাসী দাইনাকদের সাথে তঞ্চঙ্গ্যা এবং থেক বা সেকদের সাথে চাকমাদের মিল রয়েছে। এ ছাড়াও গছাভিত্তিক সমাজ কাঠামো অনুসারে তঞ্চঙ্গ্যাদের বার গছার নাম চাকমাদের গজা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নয়। এ সমস্ত যুক্তি অনুযায়ী ধরে নেয়া যায়, তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর পূর্বসুরীগণ চাকমাদের থেকে ভিন্ন গোত্রভুক্ত ছিলেন।
রাজানগরে মহামুনি মন্দির বক্ষে স্থাপিত প্রস্তর ফলকে উৎকীর্ন আছে- “আদৌ রাজা সেরমস্ত খাঁ তৎপর রাজা সুকদেব রায় অত:পর রাজা সেরদৌলত খাঁ ………… অনন্তর রাজা জব্বর খাঁ আর্যপুত্র রাজা ধরম্ ব· খাঁ তৎ সহধর্মীনি আমি শ্রীমতি কালিন্দী রাণী।” চাকমাদের আদিরাজা সেরমস্ত খাঁ চট্টগ্রামের মোগল শাসক জুলকদর খান থেকে ১৭৩৭ খ্রিস্টাব্দে পদুয়া তথা পার্বত্য জুমভূমি বন্দোবস্তি নেন। এখানেই তিনি উদ্বাস্তু চাকমাদের একচি অংশ নিয়ে আসেন এবং তাদেরকে জুম আবাদে নিয়োজিত করেন। যখন জমিদারী কোদালায় জঙ্গল আবাদের জন্য আলীকদম থেকে চাকমা প্রজাদের নিয়ে আসেন তখন কিন্তু তাদের মত দাইনাক তথা টুংটইংগাদেরকেও এনে পুনর্বাসিত করার কথা ইতিহাসে লেখা নেই। সে সময় দাইনাকদের বসতিগুলো সম্ভবত: আলীকদমে অবস্থানরত মোগল সর্দারদের ছত্রছায়া থেকে বহুদূরে গভীর অরণ্য ভূমিতে যোগাযোগের বাইরে ছিল। অথবা হয়তো নাফনদীর পশ্চিম পার্শ্বেই তখন তারা বসবাস করতো না।
সেই সময়ে শঙ্খ নদী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত অঞ্চল লোকমুখে রোয়াঙ নামে অভিহিত ছিল। মুলত: আরাকানের এক কালের রাজধানী ম্রোহং শব্দটি সাধারণ চট্টগ্রামবাসীর মুখে বিকৃত হয়ে রোয়াঙ হয়েছে (ড. আহমদ শরীফ)। রোয়াঙ বলতে তাই সমগ্র আরাকান রাজ্যটাকেও ধরা হয়। ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে বার্মারাজ কর্তৃক আরাকান দখলের সময় নাফ নদীর পশ্চিমে উক্ত অঞ্চলটি ইংরেজদের অধীনে ছিল। ফলে বার্মা অধিকৃত আরাকান থেকে প্রাণভয়ে লোকজন আশ্রয়ের সন্ধানে পশ্চিম দিকে সরে আসতে থাকে। ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে বার্মার সাথে যুদ্ধে আরাকান ইংরেজদের হস্তগত হয় এবং ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে পুরো বার্মা ইংরেজদের অধীনে চলে আসে। ফাপ্রæর সঙ্গে চলে যাওয়া লোকেরা মুল রণক্ষেত্র থেকে দুরত্ব বজায় রেখে অরন্যে জীবন যাপন করে যাঁরা টিকে ছিলেন তাদের উত্তরসুরীগণ অবশিষ্ট দাইনাকদের সাথে বর্তমানে কিছু অংশ আরাকানে বসবাস করছেন। এ. সি. তঞ্চঙ্গ্যা সংগৃহিত তথ্যানুসারে আরাকানে দাইনাকদের সংখ্যা প্রায় এক লাখের মত। এদের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৩০% মুঅ গছা, ২০% কারওয়া গছা, ৩০% অঙ্য গছা ও লাবুস্যা গছা এবং বাকী ২০% যথাক্রমে ধন্যা গছা, মংলা গছা ও মেলং গছার লোকজন। তাদের গ্রামে শিক্ষিতের হার খুব কম। যারা শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন তারা অফিসিয়ালী বার্মিজ নামে পরিচিত হন, নামের সঙ্গে দাইনাক লিখেন না। বৈবাহিক ক্ষেত্রে জাতি-ধর্ম ভেদাভেদ, রাষ্ট্রীয় কিংবা সামাজিক কোন বাধা-নিষেধ নাই। ফলে অনেক শিক্ষিত ও উচ্চ শিক্ষিত দাইনাক বৃহত্তর বর্মী সমাজে মিশে গেছেন।
আমরা ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে আগত ফাপ্রু দলের লোকেদের অবশিষ্ট অংশের বংশধরগণ বর্তমানে বাংলাদেশে যারা আছি, তঞ্চঙ্গ্যা বলে নিজেদের পরিচয় দিতে পারছি। অতীতের গছাভিত্তিক দুরত্ব এখন আর আমরা মনে পোষন করি না। আমরা যেন একটা বৃহৎ পরিবারের সদস্য। তবে ফাপ্রু নেই। আমাদের একজন ফাপ্রু দরকার। একজন মুখপাত্র, একজন গাইড দরকার।
বিগত ষাট-সত্তুর বছর পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষিতের হার খুব কম ছিল। এখনো শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা প্রতিবেশী জনগোষ্ঠীর তুলনায় অনেক পিছনে পড়ে আছি। দেশের সুনাগরিক হিসেবে শিক্ষিত হয়ে যেন ছেলেমেয়েরা গড়ে উঠতে পারে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তরুণ-তরুণীরা যেন দেশের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে, সকলের সাথে মিলেমিশে যেন সন্মান ও গৌরবের সাথে বাঁচতে পারি সে জন্য আমাদের সচেতন ও সচেষ্ট হতে হবে। এজন্য তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে একজন মুখপাত্র , একজন সঠিক গাইড ফাপ্রুকে খুঁজে পেতে হবে আমাদের।
—————————
* লেখক পরিচিতি: সদস্য সচিব, তঞ্চঙ্গ্যা ভাষা কমিটি এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, রাঙ্গামাটি সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়।